নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করায় সিলেট সেনানিবাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর সিলেটের উদ্যোগে এই আকর্ষণীয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন, সিলেট এরিয়া কমান্ডার ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার এবং সিলেট সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিট সমূহের অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ।
সিলেট সেনানিবাসের মুজিব চত্বরে বর্ণিল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, আয়োজনের প্রধান অতিথি সিলেট এরিয়া কমান্ডার ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। এসময় তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি উপলক্ষে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে এ বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। এদিকে দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানবসম্পদ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অতিসম্প্রতি জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য। এই অর্জন সত্যিই একটি বিরল এবং আনন্দদায়ক উপহার। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে দেশের এই অবস্থান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দেশপ্রেম ও অবিচল নেতৃত্বের অবদান।
তিনি আরও বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জালালাবাদ সেনানিবাসেও অনুরূপ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এসআইএন্ডটির কম্যাড্যান্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী এবং জালালাবাদ সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিটসমূহের অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
Leave a Reply