সুবর্ণা হামিদ : সিলেট বিভাগীয় বৃক্ষমেলা শনিবার, ১৩ আগস্ট শেষ হচ্ছে। একই সঙ্গে বৃক্ষরোপণ অভিযানেরও আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বন বিভাগের উদ্যেগে গত ৩০ জুলাই মহানগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বিভাগীয় বৃক্ষমেলা শুরু হয়। এতে মোট ৫০টি প্রতিষ্ঠান নানা প্রজাতির গাছ-গাছালি ও চারা নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
বৃক্ষমেলার শুরু থেকেই প্রতিদিন প্রচুর লোক সমাগম হয়। তবে ব্যবস্থাপনা ও বেচাকেনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খালেদ আহমেদ জানালেন, তিনি অনেক বছর ধরে বৃক্ষমেলা থেকে নানা প্রকার চারা কিনেন। নিজের বাড়িতে শুধু নয়-বাড়ি যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গাও গাছ লাগান।
অন্যদিকে স্টলের পরিসর ছোট থাকায় ক্রেতার চাহিদা মতো চারা এনে দিতে পারছেননা বলে সুগন্ধা নার্সারির স্বত্বাধিকারী দেলওয়ার হোসেন জানান। তবে ক্রেতাদের নিকট থেকে ভাল সাড়া মিলছে বলে জানান।
সিলেট নার্সারি স্বত্বাধিকারী মতিলাল ধর জানান, এবারের মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সমাগম কম নয়। প্রচার-প্রচারণা ভাল হলে ক্রেতা উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
মেলায় বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী (ফুল, অর্কিড, ক্যাকটাস ইত্যাদি) গাছ, চারা, বাগান পরিচর্চার সরঞ্জাম, জৈবসার, হরমোন, ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট, বীজ, কীটনাশক, ফুলের টব, গাছের ভিটামিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। বিক্রির পাশাপাশি বৃক্ষ প্রদর্শনীও চলছে।
বৃক্ষমেলার তদারকি করছেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ। তিনি জানান, এবারের মেলা শুরু থেকে বেশ জমে উঠেছে। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন ক্যটাগরিতে মোট ৬টি পুরস্কার দেওয়া হবে। বাকি স্টল মালিকদের জন্য স্বান্তনা পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি স্টলের জন্যে পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ব্যবসায়ীরা গাছ বেশি আনার কারণে জায়গা কম মনে হচ্ছে।
Leave a Reply