নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা মো এনামুর রহমান বলেছেন, ২০৭১ সালে মহান স্বাধীনতার শততমবার্ষিকীতে বাংলাদেশ হবে ভূমিকম্প সহায়ক রাষ্ট্র। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। আগামী প্রজন্ম যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে সিলেট থেকে। জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা এ খাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো মোহসীন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিলেট জেলা প্রশাসন ও জাইকার সহযোগিতায় এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী ডা মো এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটে এই অবহিককরণ সভা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করা। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনও সচেতনতা সৃষ্টি ও সতর্ককরণে যথেষ্ট কাজ করেছে।
তিনি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে যেসব ভবন ভূমিকম্প সহায়ক নয় সেগুলোকে পরীক্ষা করে দ্রুত ভূমিকম্প সহায়ক করার উপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও বহুতল ভবন নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির নিকট থেকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে যাতে ভূমিকম্প সহায়ক নয়, এমন ভবন কেউ নির্মাণ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি সিলেটে ভূমিকম্পের আশংকাকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন. সিটি করপোরেশন ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধারের আধুনিক যন্ত্রপাতি সিলেটে এসে পৌঁছেছে।
অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, ১৭ ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
অবহিতকরণ সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন ও নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন, বাংলদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড তাহমিদ মালিক আল হোসাইনী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড জহির বিন আলম, আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড শারমিন রেজা চৌধুরী, জাইকা প্রতিনিধি নাওকি মাসু মুরা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ।
এছাড়া মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
Leave a Reply