নিজস্ব প্রতিবেদক : ম্যাটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীন কবির খান এজেন্সির প্রাক্তন অফিস পিয়ন সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের মংলীপাড় গ্রামের হাবিবুর রহমান যেকোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, ম্যাটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীন সিলেটের কবির খান এজেন্সির ম্যানেজার কবির উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন।
তিনি জানান, ২০০৩ সালে ম্যাটলাইফ (তৎকালীন আলিকো) ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীন নাজিম এজেন্সির অফিস পিয়ন পদে চাকরি শুরু করেন। পরে নাজির উদ্দিনের ভাই কবির উদ্দিন খান এজেন্সি ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে অফিস মহানহরীর চৌহাট্টা থেকে স্থানান্তর করে বারুতখানায় নিয়ে এসে ‘কবির খান এজেন্সি’ নামকরণ করেন; কিন্তু তাকে কোন নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। বেতনও নির্দিষ্ট ছিলনা। কোনো মাসে ৩ হাজার আবার কোনো মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হতো। ২০১৭ সালে একদিন অফিসের কাগজপত্র গোছানোর সময় কিছু কাগজপত্র পেয়ে দেখতে পান, তার মাসিক বেতন-বোনাসের পরিমাণ সর্বসাকুল্যে ৩২ হাজার ৪৭৪ টাকা উল্লেখ রয়েছে। এই কাগজপত্রে তার নকল স্বাক্ষরও দেখতে পান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক তাকে একমাসের ছুটি দিয়ে দেন কবির উদ্দিন। পরে আর কাজে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে ম্যাটলাইলাইফের তৎকালীন সেলস্ ম্যানেজার শাকিল উস সামাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমান আরও অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে গত ৩১ ডিসেম্বর তাকে নোটিশ দেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গৌতম দেব। পরে তিনি তার কার্যালয়ে তার নিকট থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে সম্মত না হলে তাকে মামলার ভয় দেখানো হয়।
পরবর্তী সময়ে গত ৫ ও ৭ জানুয়ারি পুলিশের পক্ষ থেকে আরও দুটি নোটিশ তাকে দেওয়া করা হয়, যেগুলোতে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গৌতম দেবের কার্যালয়ে তাকে যেতে বলা হয়।
এ অবস্থায় হাবিবুর রহমান যে কোনো সময় গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Leave a Reply