এনা, নিউইয়র্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে জঙ্গিবাদ। হলি আর্টিজেনের জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা শক্ত হাতে মোকাবেলা করেছেন। তার সাহসী ও কঠোর পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে। এ কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দৃঢ়তার সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। তাদের মূল উৎপাটন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশে যে জঙ্গিবাদের স্থান নেই সেই বিষয়টি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রবাসী বাংলাদেশীরাই বুঝাতে পারেন।
রবিবার দুপুরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন আমেরিকান বাংলাদেশী বিজনেস এলায়েন্সের এক মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখছিলেন।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে ও আশরাফুল ইসলাম বুলবুলের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কংগ্রেসওম্যান ও বাংলাদেশ ককাসের সদস্য গ্রেস মেং। মুখ্য আলোচক ছিলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড আহমদ আল কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড সিদ্দিকুর রহমান, সেমিনারের চেয়ারম্যান সৈয়দ রহমান মান্নান, প্রধান সমন্বয়ক ডা মাসুদুল হাসান, সদস্য সচিব বেলাল চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস শহীদ, মোস্তফা কামাল, শাহ নেওয়াজ, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কো-চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
প্রধান অতিথি আবুল মাল আব্দুল মুহিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেংয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমেরিকা আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করে; কিন্তু আমাদেরকে জিএসপি সুবিধা দেয় না।
তিনি বলেন, গত ৮ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উর্ধ্বগতিতে রয়েছে। আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কারণেই এই সুফল পাচ্ছি। বিশ্বের মধ্যে আমরা প্রবৃদ্ধিতে মাইল ফলক স্পর্শ করেছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭% অতিক্রম করেছে। পৃথিবীতে তিনটি দেশ এই মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দুটো দেশ হচ্ছে ভারত ও চীন। আমাদের কাজ হচ্ছে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা; কিন্তু আমাদের প্রতিবদ্ধকতা হচ্ছে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ। তবে তাদের মূল উৎপাটন করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিদেশে বিনিয়োগকারীদের জঙ্গি নির্মূলের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারেন। এই সন্দেহ দূর করতে না পারলে উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে। আমরা ঋণগ্রস্ত দেশ হয়ে যেতে পারি। সুতরাং এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব শক্তিকে কাজে লাগতে হবে। তারা যেন আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, উগ্রপথে চলে না যায়। এ জন্য বাবা-মাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে বিনিয়োগের আহবান জানান এবং প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ সরকার করবে না।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।
ড আহমদ আল কবীর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন এবং কিছু সমস্যার কথাও জানান।
Leave a Reply