পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, তার দু’টি শক্তি-একটি আত্মবিশ্বাস অপটি রেনু। বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনজনই চেতনায় বাংলার মাটি ও মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করেন। তাদের নেতৃত্বগুণে আজকের বাংলাদেশ। বিপদ যতই আসুক না কেন বাংলাদেশ কখনও পথ হারাবে না।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকালে ঢাকায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, অধ্যাপক ড সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী ও শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড বিমান বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তাগণ বঙ্গমাতাকে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রেরণাদায়ী হিসেবে অভিহিত করেন।
তারা বলেন, রাজনীতির কারণে অধিকাংশ সময় বঙ্গবন্ধু কারাগার অথবা বাড়ির বাইরে থাকতেন। তার অনুপস্থিতিতে পরিবারের সকল দায়িত্ব পালন করতেন বঙ্গমাতা। জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বঙ্গমাতাকে একজন মহিয়সী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যাই করতেন তাতে পেছনে শক্তি হিসেবে বঙ্গমাতা কাজ করতেন।
শহীদজায়া শ্যামলী নাসিরন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও সেই বাড়িতে বঙ্গমাতার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা আলোচনায় তুলে আনেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতা প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সবকাজের সহযোদ্ধা ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি মাহফুজা খানম আবেগঘন কন্ঠে জানান, মুক্তিযুদ্ধের পরে বীরাঙ্গনাদের নিজের সন্তানের মর্যাদা দেন বঙ্গমাতা। নিজে তাদের বিয়ের এবং সন্তানদের দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply