হবিগঞ্জ প্রতিনিাধি : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নবীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কিশোরী জুবা আক্তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে।
এতে জানা গেছে, প্রেমিকের সহযোগীর সঙ্গে শারীরিক মিলনে রাজি না হওয়ায় তাকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে ব্লেড দিয়ে গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে, কিশোরী জুবা আক্তারের প্রেমিক গ্রেফতারকৃত খলিল উদ্দিন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টাব্যাপী ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা হক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হবিগঞ্জ পিবিআইর পুলিশ সুপার মো আল মামুন শিকদার।
খলিল উদ্দিনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার হরিনগর গ্রামের মৃত ইরশাদ উল্লাহর ছেলে সবজি বিক্রেতা গোলাম হোসেনের মাধ্যমে একই গ্রামের মিরাশ উদ্দিনের ছেলে খলিল উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হয় বাঘাউড়া গ্রামের ছুফি মিয়ার মেয়ে জুবা আক্তারের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জুবা আক্তার নিজেকে প্রেমিকের কাছে রীমা নামে পরিচয় দিতো। কয়েকদিন পূর্বে তারা মধ্যরাতে দেখা করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ২৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পুনরায় তারা মিলিত হয়। এ সময় গোলাম হোসেনও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে জুবা আক্তার তাতে রাজি না হওয়ায় গোলাম হোসেন ও খলিল উদ্দিন তার হাত ও গলা পেঁচিয়ে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
Leave a Reply