নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে ঐতিহ্যবাহী এম সি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুরো দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নানা কর্মসূচিতে দাবি উঠেছে, অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির; কিন্তু প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একজন অপরাধীও ধরা পড়েনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড এ কে আব্দুল মোমেন এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অতিসত্বর এই ধর্ষণ মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক দম্পতি প্রাইভেট কার নিয়ে এম সি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে এলে একদল যুবক দু’জনকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষকরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামী-স্ত্রী ও প্রাইভেট কার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষিত তরুণী গৃহবধূকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি দিয়ে মামলা দায়ের করেন।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলো, সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারেক আহমদ ও রবিউল ইসলাম বহিরাগত। অন্যরা এমসি কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।
এই জঘন্য অপকর্মের প্রতিবাদে এম সি কলেজ ক্যাম্পাস সহ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এম সি কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন ও কর্তব্যে অবহেলার দায়ে ছাত্রবাসের দুই নৈশ প্রহরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
Leave a Reply