হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামীর হাত-পা বেধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মনু মিয়া (৩৬) নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সুদীপ্ত রায় সোমবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তরসাঙ্গর গ্রামের এক গৃহবধূকে একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন উল্লার ছেলে মনু মিয়া প্রায়ই উত্যক্ত করত। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি দুপুর বেলা গৃহবধূর দিনমজুর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মনু মিয়া ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে তার স্বামী ও সন্তানকে মেরে ফেলবে।
তবুও গৃহবধু স্বামীকে জানালে তিনি গ্রাম পুলিশের সহায়তায় মনু মিয়াকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন; কিন্তু ইয়াছিন উল্লার ছেলে উস্তার মিয়া মনু মিয়াকে ছাড়িয়ে নেয়।
এর ৩ দিন পর ১৭ জানুয়ারি গভীর রাতে মনু মিয়া সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে আবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বানিয়াচং থানায় মনু মিয়া, উস্তার মিয়া, আব্দুল জলিল, ইদ্রিছ মিয়া ও মুতি মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল মনু মিয়া ও উস্তার মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আদালত ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পলাতক আসামি মনু মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন অন্য আসামিদের। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মাসুম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।