এস এম সুরুজ আলী, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনে স্থবির চা শিল্প। চা বাগানগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য নেই। কারখানা বন্ধ থাকায় পঁচে গেছে উত্তোলিত প্রায় ১০ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা । এতে ইতোমধ্যেই কয়েক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে।
এ তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র জানান, এখনতো ভরা মৌসুম; কিন্তু চা পাতা সংগ্রহ থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম বন্ধ। অন্যদিকে আন্দোলেনে যাওয়ার আগে উত্তোলিত পাতাগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায়ে পঁচে গেছে।
প্রতি ৬ কেজি কাঁচা পাতায় ১ কেজি চা উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি চায়ের দাম ২৫০ টাকা। এ হিসেবে চা বাগানগুলোর ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে।
কাঞ্চন পাত্র বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য টানা আন্দোলন চলেছে। কয়েকদফা বৈঠক করেও কোন সুরাহা হয়নি। তাই শ্রমিকরা নিজ নিজ চা বাগানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে রাজপথে যেতে বাধ্য হবো।
এ দিকে শনিবার হবিগঞ্জের বাগানগুলোতে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন শ্রমিকরা; কিন্তু কেউ কাজে যোগ দেননি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, দাবিকৃত মজুরি বাস্তবায়ন না হলে শ্রমিকরা কাজে ফিরবেননা। প্রয়োজনে রাজপথে যেতে বাধ্য হবেন।
উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে চা শ্রমিকরা টানা ১০ দিন ধরে আন্দোলনে আছেন। দফায় দফায় বৈঠক করেও এর কোন সুরাহা করতে পারেনি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। মালিক পক্ষ ১৪০ টাকা দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা তা মানেননি।