বিশেষ প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে গৃহবধূ তাহেরা খাতুন আয়েশা (২০) হত্যা মামলায় তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ সহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. জাহিদুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলো, চুনারুঘাট উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে তাহেরা খাতুন আয়েশার স্বামী মো রাসেল মিয়া (২৫), ভাসুর মো কাউছার মিয়া (৩২), শাশুড়ি তাহেরা বেগম (৫০), ননদ হোছনা বেগম (২০) ও জা রোজি বেগম (২৭)। অভিযুক্তদের মধ্যে কাউছার মিয়া পলাতক রয়েছে।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এ রায়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।
মামলার বাদি বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, যৌতুকের জন্য মারপিট করে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়। সে ৭ মাসের গর্ভবতী ছিল। তিনি রায়ে সন্তুষ্ট। তবে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে তাহেরা খাতুন আয়েশাকে একই উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহেরা খাতুন আয়েশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ উল্লেখিত ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ১২ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
Leave a Reply