পলি রায়, সুনামগঞ্জ : টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১০২ মিলিমিটার। পানি বেড়েই চলেছে।
এদিকে জেলা সদরের নিম্নাঞ্চল ষোলঘর, নবীনগর, ধারারগাঁও, জেলরোড, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া ও বড়পাড়া এলাকার সড়ক ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। সুরমা নদীর উত্তরপারে শহরতলির ইব্রাহিমপুর এবং সদরগড় সহ বিভিন্ন গ্রামও বন্যা কবলিত। অনেকে নিজের বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ছাতকে উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বানের পানি।
এছাড়া তাহিরপুর, দিরাই, শাল্লা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার এবং জামালগঞ্জ উপজেলায়ও বন্যা দেখা দিয়েছে। ছাতকের সঙ্গে সারাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সড়ক যোগাযোগও বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমির বোরোধান নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি ৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাহিরপুরের যাদুকাটাসহ জেলার অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।