আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট-ইরি, বাংলাদেশের সহযোগিতায় ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ-এফআইভিডিবির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় কাঠইর ইউনিয়নের কাঠইর গ্র্রামে বাস্তবায়িত ইরি-এগ্রি প্রকল্পের শস্যকর্তন বোরো ২০২০-২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কাঠইর গ্রামের কৃষক মো আব্দুল মতিন ও মো জুনেদ আহমদের জমিতে ৫ প্রকার জাতের ধান কেটে কোন ধরনের জাত এই এলাকার জন্য উপযোগী তা মূল্যায়ন করা হয়।
ব্রি ধান ২৮, ব্রি ধান ৬৭, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান ৮৮ ও ব্রি ধান ৯৬ জাতের ধান ১০ বর্গমিটার করে জমি থেকে কেটে মাড়াই করা হয়। এই জাতগুলোর মধ্য থেকে হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায়, ব্রি ধান ৯৬ ৬ টন, ব্রি ধান ৮৮ ৬.২ টন, ব্রি ধান ৮৪ ৬.১ টন ও ব্রি ধান ৬৭ ৫.৭ টন।
কাঠইর ইউনিয়ন একটি বন্যা প্রবণ এলাকা। প্রায় প্রতি বছর বোরো মৌসুমে বন্যার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইরি এই এলাকার জন্য উপযোগী ধানের জাত কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত পাঁচটি জাত দ্বারা কৃষকের জমিতে প্রর্দশনী প্লট স্থাপন করে। এতে সহযোগিতা করে এফআইভিডিবি।
শস্যকর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির ডিলার মেমার্স এম কে ট্রেডার্স প্রতিনিধি মো আফাজ উদ্দিন, কৃষক মো জুনেদ আহমদ ও এফআইভিডিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পলাশ ইউনিয়নের করচর হাওরে কৃষক কামরুল ইসলামের জমিতেও ইরি-এগ্রি প্রকল্পের শস্যকর্তন বোরো ২০২০-২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো নিজাম উদ্দিন ও আল আমিন, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মো আনোয়ার হোসেন খোকন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো এমদাদুল হক, উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুছাইন আহমদ এবং এফআইভিডিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম।