নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে শনিবার যথাযথ মর্যাদায় সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে দুপুরে বিভিন্ন সংগঠন মহানগরীর চৌহাট্টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সিলেট নাগরিক মৈত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের আগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাভভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড নাজিয়া চৌধুরী, আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট বিভাগের সমস্বয়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা নাসরিন, সদস্য ডা নাজরা চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন বাসিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান, যুব ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, প্রভাষক রাজীব চৌধুরী, আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি দীপঙ্কর সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ইউছুফ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডা শামসুদ্দিন আহমদ ও ডা শ্যামল কান্তি লাল সহ অন্যরা যখন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তখনই পাকিস্তানি হানাদান বাহিনী এই দুই কৃতি চিকিৎসক এবং আরও ১৭ জনকে হত্যা করে। কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের হত্যার ঘটনা আর নেই।
তারা ডা শামসুদ্দিন আহমদ ও ডা শ্যামল কান্তি লাল সহ সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্য পালনকালীন সকল শহীদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করার দাবি জানান।
দিনটি উপলক্ষে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন, বাপা এবং ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
Leave a Reply