সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড নাজমানারা খানুম বলেছেন, বাংলাদেশ বেতারের গুরুত্ব ও অবদান দিন দিন আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। হচ্ছে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। এখন মোবইলের যুগ। সবার হাতে মোবাইল। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই শোনা যায় বলে বেতারের অনুষ্ঠান শুনতে অসুবিধা হয়না।
তিনি আরো বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা হতো। সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের খবর শোনার জন্য এ দেশের জনগণ কাজকর্ম ফেলে রেডিও ঘিরে বসে থাকতো। অনেকেই বেতারের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট বেতর ভবন প্রাঙ্গণে শ্রোতা সম্মেলনের প্রথম পর্বে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো রাহাত আনোয়ার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক তাপস দাশ পুরকায়স্থ ও আফতাব চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক। পরিচালনায় ছিলেন আবৃত্তিকার আমিনুল ইসলাম লিটন।
দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বাংলাদেশ বেতার বাঙালি জাতির অস্তিত্বের ঠিকানা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অত্যন্ত বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যে ভূমিকা পালন করেছে তা অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতার পর থেকেও জাতির অগ্রযাত্রায় বেতার পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই যুগেও বেতার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের আস্থা নিয়ে চলছে।
তিনি উল্লেখ করেন, একাত্তরের সাতই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের সারাংশ পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিলেট বেতার প্রচার করেছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজনিন হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের উপ আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ইমজার সভাপতি আল আজাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, কণ্ঠসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া বেগম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি অজিত রায় ভজন। এছাড়াও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শ্রোতা ক্লাবের সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে বেতারের ঘোষিকা রোকেয়া বেগম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি লাভ করায় অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ও উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠান প্রযোজনায় ছিলেন বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাশ। সহযোগিতায় ছিলেন মো জাকিরুল ইসলাম, পবিত্র কুমার দাশ ও মো জোনায়েদ হোসেন। দ্বিতীয় পর্বে সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দ সায়মুম আনজুম ইভান ও অনিমা দেব তন্নী।
পরে বেতার শিল্পীদের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Leave a Reply