সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের অন্যান্য গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকরাও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আলাদাভাবে কর্মবিরতি পালন করছেন সিকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। ফলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
কর্মবিরতির তৃতীয়দিনে বুধবার, ৩ জুলাই (১৯ আষাঢ়) কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সিকৃবি অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় অফিসার পরিষদ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সিকৃবি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো শরীফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো আসাদুজ্জামানের টিএসসির সম্মুখে কর্মবিরতি পালনকালে সভা করা হয়।
সমাবেশগুলোতে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল ও সচিবরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।
তারা বলেন, ’প্রত্যয়’ স্কিমের ফলে বেতন—বোনাস, উৎসব ভাতা কিছুই থাকবে না। আর ৩০/৪০ বছর পরে যে পেনশনের সুবিধা দেখানো হচ্ছে সেটা প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে কোনও বীমায় রাখলেও পাওয়া যায়। তাই এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের যৌক্তিকতা বোধগম্য নয়।
বক্তারা অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক নীতি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়-আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদেরকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে; কিন্তু এটা আমাদের অস্তিত্ব ও মর্যাদার লড়াই।এত বৈষম্য মানা যায় না।
Leave a Reply