নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
সনাতনী নাগরিক সমাজের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার, ১১ আগস্ট (২৭ শ্রাবণ) দুপুর আড়াইটার দিকে মহানগরীর কাজলশাহ এলাকার যুগলটিলায় সিলেট ইসকন মন্দির থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ-শিশু বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উত্থাপিত ৮ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা, অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়নসহ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ ও প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা।
সমাবেশে ইসকন বাংলাদেশের সহসভাপতি ও ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ বলেন, হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, হিন্দুরা এ দেশের নাগরিক। তাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। তারা অনেকবার পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাদেরকে যথাযথ নিরাপত্তা সরকারকেই দিতে হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, বৈষমীবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা; কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, সারাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাতনী নাগরিক সমাজের গোপীনাথ দাস, রজত চক্রবর্তী, সোমা দাস, তুষার চক্রবর্তী প্রমুখ।
Leave a Reply