নিজস্ব প্রতিবেদক ; সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে।
তবে সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে পানি নিচের দিকে নেমে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে। আশংকা করা হচ্ছে, বৃষ্টি হলে বা পাহাড়ি ঢল নামলে এতে অন্য তিন উপজেলা ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলা বানের কবলে পড়তে পারে।
বন্যা কবলিত ১০ উপজেলায় চালু আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে অধিকাংশ মানুষ বাড়িঘরে ফিরে গেছে। অন্যরা বুধবার ফিরে যেতে পারে।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহানগরীর কিছু ওয়ার্ডে এখনও পানি। এসব এলাকাসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সিসিক ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
তবে বেশিরভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষ বাসাবাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সিসিকের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবারসহ ওষুধপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সিসিক মহানগরীর মির্জাজাঙ্গাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমরশাহ স্কুল, ইউসেফ ঘাসিটুলা স্কুল, জালালাবাদ মডেল স্কুল, মঈন উদ্দিন মহিলা কলেজ, কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাসিটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেলওয়ে কলোনি স্কুল, সমাজসেবা স্কুল, সোনারপাড়া, কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সওদাগরটুলা, রামকৃষ্ঞ উচ্চবিদ্যালয়, ঝালোপাড়া মসজিদ বাজার এবং সিটি কাউন্সিলর তুহিনের তত্ত্বাবধানে ও সিটি কাউন্সিলর সুহিনের বাড়িতে একটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো মখলিছুর রহমান কামরানসহ কাউন্সিলর ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক কর্মতৎপরতা চলছে।
Leave a Reply