অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সিলেট, চট্টগ্রাম, ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে পাহাড়-টিলার পাদদেশে ও নদী তীরবর্তী স্থানে ভূমিধ্বস হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির লক্ষ্যে রবিবার, ১৪ মে সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সিভিল সার্জন অফিস ও এসএমপি প্রতিনিধি, ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সভয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে জরুরিভিত্তিতে নিজ নিজ উপজেলায় পাহাড়-টিলার পাদদেশ ও নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রচারণা চালাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয় ।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্যও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৩ উপজেলায় জিআর নগদ অর্থ ১ লাখ টাকা করে মোট ১৩ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৬৩ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, প্রতিটি উপজেলার জন্য মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে সরবরাহ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। ত্রাণ তৎপরতা ও উদ্ধারকার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও জানাননো হয়, সার্বিক পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। তথ্য বিবরণী
Leave a Reply