কয়েক হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে সোমবার আধ্যাত্মিক রাজধানী পুণ্যভূমি সিলেট মহানগরীতে অনুষ্ঠিত হলো বিশাল ও বর্ণাঢ্য ‘মুবারক র্যালি’।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উপলক্ষে বাংলাদেশ আজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার বাদ জোহর সোবহানীঘাট হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা ময়দান থেকে বের হয়ে শোভাযাত্রাটি মহানগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এতে নেতৃত্ব দেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, অধ্যক্ষ মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মকন মিয়া।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ্ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (স) বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত রূপে দুনিয়ায় আগমন করেছিলেন। পাপ-পঙ্কিলতায় ঘেরা বিশ্বে তার আগমন ছিল সকল মানুষের জন্য মহা আনন্দের। তিনি খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত মানব সমাজকে সোনার মানুষে পরিণত করেছিলেন। শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন গোটা মানব সমাজকে। তিনি মানুষকে ইনসাফ ভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল জীবন পরিচালনার বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন।
‘মুবারক র্যালি’ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আখতার হোসাইন জাহেদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুনুর রহমান লেখন ও সদস্য সচিব এনাম উদ্দিন আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে ফুলতলী। প্রধান বক্তা ছিলেন আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। এছাড়াও বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply