বাসস, সিলেট : সিলেটের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর আহ্বানে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান, পুরাতন কারাগারের স্থলে সবুজ পার্ক, সবুজ সড়ক, সুরমা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে ও অত্যাধুনিক পাঁচটি গোলচত্বর নির্মাণ এবং পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ সহ সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
রবিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাাব্যাপী এ বৈঠক অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, সিলেট থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যে সকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। সিলেট থেকে শিগগিরই চালু হবে ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইট। ওসমানী বিমানবন্দরে বিজনেস ও ফার্স্ট ক্লাস পৃথক লাউঞ্জ তৈরি করা হবে।
তিনি জানান, ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দিতে নতুন করে ‘গ্রেটার প্ল্যান’ হাতে নেয়া হচ্ছে।
বৈঠকে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সিলেট মহানগরী ও এর বাইরের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও রয়েছে, সিলেট মহানগরী ও এর বাইরে আধুনিক পাঁচটি গোলচত্বর নির্মাণ করা। স্থানগুলো হচ্ছে, হযরত শাহপরান (র) মাজার গেইট, টুকেরবাজার (তেমুখি) পয়েন্ট, কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, কাজিরবাজার (শেখঘাট) সেতুর প্রবেশ মুখ ও ধোপাদিঘিরপাড় (হাফিজ কমপ্লেক্স) পয়েন্ট।
বৈঠকে মহানগরীর পুরাতন কারাগারের স্থলে সবুজ পার্ক নির্মাণের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। জানানো হয়, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্থাপনা সংরক্ষণের মাধ্যমে এই পার্ক জাদুঘর, শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও নাট্যমঞ্চ সহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমেরও কেন্দ্র বিন্দু হবে।
এছাড়াও সুরমা নদীর দুইপাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মহানগরী ও এর বাইরে দুইটি সবুজ সড়ক নির্মাণ সহ সিলেটকে আধুনিক ও আদর্শ নগরী হিসেবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড একে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড আহমদ আল কবির, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির পরিচালক ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি হাসিন আহমদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ, অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব জাকারিয়া আহমদ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাবেদ সিরাজ, কিশোর ভট্টাচার্য জনি, মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া প্রমুখ।
Leave a Reply