বিশেষ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সিলেট মহানগরীর উন্নয়নের জন্য আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মতো সৎ, যোগ্য ও কর্মঠ মানুষের প্রয়োজন। জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রবসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে যত কোটি টাকার প্রয়োজন তার পক্ষেই কেবল সরকারের নিকট থেকে তা আদায় করা সম্ভব। কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ স্নেহের পাত্র। তাকে নির্বাচিত করতে ঝড়-বৃষ্টি বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট দিবেন।
সোমবার, ১৯ জুন সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর শেষ নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় জনসভায় ‘নৌকা’র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। এই মাটির সন্তান। মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতিতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন। গত একমাসে আমি আপনাদের মধ্যে যে সাড়া পেয়েছি তা অভাবনীয়। আপনাদের ভালোবাসায় আমি ধন্য। বুধবার নির্বাচন। আমি জানি, ঝড়-বৃষ্টি বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে হলেও আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। নৌকাকে বিজয়ী করে আপনাদের খাদেম হিসাবে সেবা করার সুযোগ চাইছি। আমি আশাবাদী, আপনারা আমাকে বঞ্চিত করবেননা।’
তিনি দীর্ঘ প্রচারণায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ নেতা-কর্মীসহ যারা ছিলেন তিনি তাদেরে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, জেলা সহসভাপতি শাহ ফরিদ, আশফাক আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, মহানগর সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, ফয়জুল আনোযার আলাউর, অ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড খালেদ শওকত আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, মহানগর সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, যুবলীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ও ছাত্রলীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ প্রমুখ।
Leave a Reply