লন্ডন প্রতিনিধি : প্রথম ব্রিটিশ বাঙারি হিসেবে ব্রিটেনে হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বৃহত্তর সিলেটের অধিবাসী আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসি।
শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিচারপতি হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসির নিয়োগ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনুমোদন করেছেন, যা ২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
হাইেকোর্টের বিচারপতি হবার আগে আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেখানে ডেপুটি বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার আগে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত সিলেটের বিয়ানীবাজারের সপ্নারা খাতুন ব্রিটেনে ক্রাউন কোর্ট ও ফ্যামিলি কোর্ট বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
৫০ বছর বয়সী আখলাকুর রহমান চৌধুরী ১৯৯২ সালে ব্যারিস্টারি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন। এ পেশায় থাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত দুইজন কুইনস কাউন্সেলের (কিউসি) মধ্যে তিনি একজন। অন্যজন হলেন, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
‘কমার্শিয়াল, এমপ্লয়মেন্ট ও ইনফরমেশন ল’ বিশেষজ্ঞ আখলাকুর রহমান চৌধুরী গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পান।
আইন পেশায় যোগ দেয়ার পর তিনি দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে শীর্ষ পাঁচ ব্রিটিশ আইনজীবীর তালিকায় চলে আসেন। লর্ড আরভিন অব লেয়ার্গ ও লর্ড জাস্টিস ইলিয়াসের সঙ্গে আপিল আদালতে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ‘এ’ প্যানেলভুক্ত আইনজীবী হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসি দীর্ঘদিন ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস, মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স, এইচএমআরসি ও সরকারের অন্যান্য বিভাগে আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তথ্য অধিকার ও তথ্য সংরক্ষণ আইন নিয়ে অনেক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই আইনজীবীকে ২০১৫ সালে কুইনস কাউন্সেল করে নেওয়া হয়।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে আখলাকুর রহমান চৌধুরীর জন্ম হ্যাম্পশায়ারে।  আজিজুর রহমান চৌধুরী ১৯৭১ সালে ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। তাদের আদি নিবাস ভারতের করিমগঞ্জে। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর আজিজুর রহমান চৌধুরীর পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন।
আজিজুর রহমান চৌধুরী ১৯৬২ সালে ব্রিটেনে আসেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সকলেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।