সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-সিকৃবির ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড মু আক্তারুজ্জামান জুলহাস বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের আওতায় প্রাণীসম্পদ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি ভেজাল ফিডের (রাফেজ ও কনসেনট্রেট) উপর ফাংগাস (প্লুরটাস অসট্রেটাস) দিয়ে (পিডিএ মিডিয়া, টিস্যু কালচার, মাদার কালচার ও স্পনিং) গবেষণা করেন এবং কিভাবে ভেজাল ফিডে নিউট্রিটিভ ভ্যালু (প্রোটিন লেভেল) বাড়ানো ও টক্সিসিটি কমানো যায় সেটি নিয়ে কাজ করেন।
বø্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের উপর এক বছর বায়োলজিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এফসিআর কমছে, দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ছে এবং হেমাটোবায়োকেমিক্যাল প্যারামিটারের (টিইসি, হিমোগøবিন, পিসিভি, ইসিআর, টিএলসি, ডিএলসি, এএলটি, এএসটি ও এএলপি) মধ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর পরিমাণ বাড়ছে ও ক্ষতিকর উপাদানগুলোর পরিমাণ কমছে।
প্রান্তিক কৃষকসহ যে কেউ ফাংগাস (প্লুরটাস অসট্রেটাস) দিয়ে স্পনিং করা চার সপ্তাহের সাবস্ট্রেট (রাফেজ ও কনসেনট্রেট) প্রাণীদের খাওয়ালে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করবে। এছাড়া পাঁচ সপ্তাহের সময় ফাংগাস (প্লুরটাস অসট্রেটাস) দিয়ে স্পনিং করা সাবস্ট্রেট (রাফেজ ও কনসেনট্রেট) থেকে যে মাশরুম পাওয়া যায় তা মানুষ ও প্রাণীসম্পদের জন্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করবে। সর্বশেষ যে স্পনিং রেসিডিউ ফিড স্যাম্পল রেসিডিউ থাকে সেটি সার হিসেবে ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
ডা মু আক্তারুজ্জামান জুলহাসের সিকৃবি হতে ২০০৬ সালে ডিভিএমে (ডক্টর অব ভেটিরিনারি মেডিসিন) প্রথম স্থান (বিশ্ববিদ্যালয় পদক) ও ২০১০ সালে ফার্মাকোলজি বিষয়ের উপর এমএস ডিগ্রিতে প্রথম স্থান (রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক) অর্জন করেন।
তিনি ২০০৯ সালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ফিজিওলজি ও ফার্মাকোলজি বিভাগে লেকচারার (ফার্মাকোলজি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১১ সালে একই বিভাগে সহকারী প্রফেসর, ২০১৮ সালে সহযোগী প্রফেসর ও ২০২৩ সালে প্রফেসর পদে যোগদান করেন।
প্রফেসর ড মু আক্তারুজ্জামান জুলহাস ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি মু হারুন-অর-রশিদ ও জোছনারা বেগমের প্রথম পুত্র। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি