চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, কর্মশালা ও পুরস্কার প্রদানসহ বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫ম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হলো।
তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে বিশ্বের ১১১টি দেশের ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
রবিবার, ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় উৎসবের শেষদিনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ৯ ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর পার্থ প্রতিম বর্মন , সিলেট চলচ্চিত্র সংসদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মাহবুব আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, চলচ্চিত্র সমালোচক সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও ছাত্রলীগের নেত্রবৃন্দ।
এবার মোট ৯ ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন বাংলাদেশী নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে গোলাম রাব্বানী (চলচ্চিত্র ‘মিরাকেল ইন হ্যাভেন’) আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে আলজেন্ড জিওরল্যান্ডো (চলচ্চিত্র ‘রেসেস’, আর্জেন্টিনা), সেরা সম্পাদক ‘হোয়্যার ইজ দ্যা গভর্নর’ চলচ্চিত্রের কেব তেজেদা (মেক্সিকো), সেরা সিনেমাটোগ্রাফার ‘চিলেকোঠা’ চলচ্চিত্রের সৌম জয়তি সরকার (ভারত), সেরা অভিনেতা ‘দ্যা মিডনাইট গার্ল’ চলচ্চিত্রের খায়রুল বাশার (বাংলাদেশ) ও সেরা অভিনেত্রী ‘দ্যা ডেলিভারি’ চলচ্চিত্রের মার্তা সিসলোয়িকজ (পোল্যান্ড)
পুরস্কার বিতরণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড আতিকুজ্জামান বলেন, চলচ্চিত্র একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম, যার ফলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি ফুটে উঠে । বিশ্বের যে ১১১টি দেশ থেকে চলচ্চিত্র জমা পড়েছে সেগুলোর মঙ্গে বাংলাদেশের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হলো ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের চলচ্চিত্র উৎসব আগামীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশী নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ‘মিরাকেল ইন হ্যাভেন’ পরিচালক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এখানে পুরস্কার পেয়ে নিঃসন্দেহে খুব ভাল লাগছে । এ ধরনের পুরস্কার আমাদের মতো নির্মাতাদের খুবই উৎসাহ দেয়।’
এবারের উৎসবে বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩০৬৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে থেকে বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জুরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, চলচ্চিত্র সমালোচক, কিউরেটর প্রেমেন্দ্র মজুমদার, ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি, চলচ্চিত্র সমালোচক সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি