প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, দেশের অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আছেন যাদের চাষের জমি নেই; কিন্তু অনেক বিত্তবান মানুষের বিপুল জমি সারা বছর অনাবাদি পড়ে থাকে। তাই সমবায় সমিতির মাধ্যমে এ দুই শ্রেণির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেছেন, এই সেতুবন্ধন তৈরি হলে দেশে যেমন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমবে তেমনি চাষাবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল (২১ চৈত্র) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকদের সম্মান করতেন। তাই কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ স্লোগানে দেশের কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যাতে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হয় সেজন্য বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশ ও সার-বীজে ভর্তূকি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আধুনিক ও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা ও চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের অবিহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার মোট ২ হাজার ২০০ জন কৃষককে জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হবে। পিআইডি সিলেট