সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ ভাঙ্গাগড়ার পাশাপাশি নাগরিক সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি সিলেট মহানগরীতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ ও ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা প্রসঙ্গে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে অপরিকল্পিতভাবে মহানগরীর প্রায় প্রতিটি রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়িতে নগরবাসীর জীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ৪-৫ মাস আগে খোঁড়া হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। এতে যেমনি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তেমনি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। এ নিয়ে তাদের মনে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, চলমান কাজগুলো ঠিকাদাররা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। ফলে জনগণের ভোগান্তি অসহনীয় মাত্রায় গিয়ে পৌঁঁছেছে।
সিলেট চেম্বার প্রশাসক উল্লেখ করেন, সেবাধর্মী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি যেন দিন দিন জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানের বদলে স্বেচ্ছাচারী ও একক আধিপত্যের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অস্বিত্ব ছলে বলে কৌশলে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আগামী একমাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী ও যে সমস্ত বাসা-বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছে সেগুলো পুণ:নির্মাণ করার এবং জনদুর্ভোগ এড়াতে জনবহুল এলাকাগুলোতে একই সাথে একাধিক উন্নয়ন কাজ পরিচালনা না করার জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মহানগরীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে বর্ষা মৌসুমে দরপত্র আহবান ও ঠিকাদার নির্বাচনসহ যাবতীয় কাজ গুছিয়ে রাখা যেতে পারে। এতে পরবর্তী বর্ষার আগে সেইসব কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ফলে কাজের মান ভালো হবে-অপচয়ও কমবে।
শুধু ভাঙ্গা-গড়া নয়, নাগরিক সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত বলেও আসাদ উদ্দিন আহমদ অভিমত রাখেন।