মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকার সবুজায়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো আতিকুল ইসলাম বছরব্যাপী এক লাখ বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেছেন।
নাগরিক ঢাকা’র সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী, গণমাধ্যমকর্মী ও গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের জাতীয় মুকুল ফৌজ মাঠ থেকে এই অভিযান শুরু হয়।
মেয়র বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করে জানান, ‘সবুজে সাজুক ঢাকা’ এই স্লোগান হৃদয়ে ধারণ করে নগরজুড়ে এই সময়ে মূলত তিন ধরনের গাছ লাগানো হবে। যেমন বনজ বৃক্ষ রেইনট্রি, মেহগনি, একাশিয়া, গালাতিয়া ও ইপিল ইপিল; ঔষধি বৃক্ষ অর্জুন, নিম, বহেরা ও হরিতকি এবং ফলদ বৃক্ষ আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু ও পেয়ারা। প্রথম দফায় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে এক হাজার করে লাগানো হবে মোট ৫৪ হাজার গাছ। এভাবে বছর ফুরানোর আগেই তাজা অক্সিজেনদায়ী নতুন এক লাখ সবুজ প্রাণের সঞ্চার ঘটানো হবে।
সুন্দর ও স্বাস্থ্যপ্রদ নাগরিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য গাছের অসীম গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আয়তন অনুসারে অন্তত ২৫ ভাগ জায়গা জুড়ে সবুজ গাছপালা ও খোলা হাওয়ার অবাধ চলাচল থাকা অপরিহার্য। অথচ দেশের রাজধানী ঢাকায় দৃশ্যমান সবুজের উপস্থিতি মাত্র ৫ ভাগ।
এই ছবিটা বদলে দিয়ে নিজেদের ও এই নগরকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য নগরবাসী সবার প্রতি মেয়র আহ্বান জানান।
আয়োজনটিতে জুম ভিডিও মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত হন, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ।
ডিএনসিসির বৃক্ষরোপণ অভিযান বাস্তবায়নে বনায়নের সহায়তায় সক্রিয় সহযোগিতা প্রদানকারী নাগরিক ঢাকা’র সভাপতি এম নাঈম হোসেন কার্যক্রম সফল করতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের কমিশনারদের হাতে বছরব্যাপী রোপণের জন্য বৃক্ষচারা তুলে দেওয়া হয়। পরিণত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এসব গাছ দেখাশোনার জন্য বিশেষ দায়িত্বও দেয়া হয়েছে ১০ জন কাউন্সিলরের উপর। সবশেষে, ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও নাগরিক ঢাকা’র সভাপতি এম নাঈম হোসেন মাঠ প্রাঙ্গণে ৩টি বৃক্ষচারা রোপণের মাধ্যমে অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান।
ডিএনসিসি ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সেলর কাজি জহিরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি, সদস্য ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গনি, সদস্য ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেরুন্নেছা হক, গ্রিন সেভার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহসান রনি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড আবুল হাসনাত এম সোলায়মান।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, এলাকার নবীন-প্রবীণ প্রজন্মের সদস্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়ীবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।