‘দক্ষ নেতৃত্ব সৃষ্টি, জ্ঞান অর্জন এবং মেধা ও মননের বিকাশে বিতর্ক প্রতিযেগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হতে হলে নতুন কিছু জানার আগ্রহ থাকতে হবে। যুক্তিবাদী সমাজ গঠনে ও মেধা বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে লিডারশিপ ডেভেলাপমেন্ট ফোরাম-এলডিএফ আয়োজিত আন্তঃবিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড মো সালেহ উদ্দিন এ কথা বলেন।
এলডিএফএর সদস্য সচিব ইইই বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নওশাদ আহমদ চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং আইন ও বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক গাজী সাইফুল হাসানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিচারকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক অনিক বিশ্বাস। বিচারকমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য ছিলেন, পরিচালক (প্রশাসন) তারেক ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান, আইন ও বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শের-ই-আলম এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক বিউটি নাহিদা সুলতানা। ছায়া সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড নজরুল হক চৌধুরী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ঐশী, রাহাত, সালেক ও নওরীন।
মোট ৮টি দলের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী সংসদীয় বিতর্কের শেষ দিনের চূড়ান্ত পর্বের বিয়ষ ছিল ‘বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট থেকে বিদেশী ঋণ কর্তন করা উচিত’। পক্ষে ছিল সরকারি দলের ভূমিকায় ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ ও বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল ইইই বিভাগ। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় বিরোধীদল ইইই বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়।
চ্যাম্পিয়ন দলে বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন যথাক্রমে বিপ্রজিত তালুকদার, আবু মুসা, ফয়সল আহমদ, শিহাব উদ্দিন ও আদনান শাকিল। রানারআপ দলের সদস্যরা ছিলেন, ফাহমিদা উসমান দিয়া, মো সালমান আহমদ, ফাইজা জান্নাত জামালি, পূজা চক্রবর্তী ও মো ওবায়দুর রহমান সোহান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ ও এলডিএফ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মাহমুমুদুর রহমান, ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড তাহের বিল্লাল খলিফা, পরিচালক (অর্থ) মিহির কান্তি চৌধুরী, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোহম্মদ জামাল উদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান শেখ আশরাফুর রহমান, ইইই বিভাগের প্রধান মিয়া মো আসাদুজ্জামান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (জনসংযোগ) লোকমান আহমদ চৌধুরী।