বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের প্রথম শহীদ মনু মিয়ার স্মরণে তার বসতভিটায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার নয়াগ্রামে এ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলী আহমদ। এরপর শহীদ মনু মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি ট্রাস্ট ইউএসএ ইনকের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান। শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব খালেদ জাফরী ও সমন্বয়কারী ওয়ালী মাহমুদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাজী মতিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালীক ফারুক, বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউদ্দিন আহমদ, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউর রহমান, বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যাপক প্রিয়তোষ চক্রবর্তী, বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ডের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ও সাপ্তাহিক বিয়ানীবাজার বার্তা সম্পাদক ছাদেক আহমদ আজাদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, লেখক আজিজুস সামাদ শামীম, বিয়ানীবাজার মহিলা কলেজের অধ্যাপক ফয়ছল আহমদ ও শহীদ মনু মিয়ার পরিবারের পক্ষে তার ভাতিজা গৌছ উদ্দিন খান খোকা।
বক্তারা বলেন, এখনো অনেকেই জানেনা শহীদ মনু মিয়া কে ছিলেন, তার বাড়ি কোথায়। এজন্য এখন থেকে শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি পরিষদকে নতুন প্রজন্মের কাছে মনু মিয়ার আত্মত্যাগ তুলে ধরতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে শহীদ মনু মিয়া উপেক্ষিত। তার নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে কিছুটা হলেও দায় শোধ করা হয়েছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেতৃবৃন্দ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন।
বক্তারা শহীদ মনু মিয়ার নামে পৌর এলাকার নয়াগ্রাম সড়কের নামকরণের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে প্রতিবছর ৭ জুন শহীদ মনু মিয়া দিবস পালনেরও আহবান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি পরিষদ বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
Leave a Reply