নিজস্ব প্রতিবেদক : বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা বলেছেন, বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে পাশে প্রবেশের মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারকে ভয়ংকর অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়ার পায়তারা চলছে। বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী আত্তীকরণ হলে ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ হবেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি শিক্ষা ক্যাডারে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ সহ অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ার শিক্ষক আত্তীকরণ সমর্থন করে না। বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত না হয়ে ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহত করা হবে।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক সাব্বীর আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আ ন ম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক তৌফিক এজদানি চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ফাহিমা জীন্নুরায়েন, সহযোগী অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল ও সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।
তারা বলেন, ১৬ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয়করণের জন্য ঘোষিত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, নন ক্যাডার ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নিদের্শনা অর্ন্তভুক্ত বিধিমালা করতে হবে। অন্যথায় ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি মহাসমাবেশ ডেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নতুন প্রজন্মের শিক্ষকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ক্যাডারের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক সংখ্যালঘু অংশে পরিণত হবেন, যা ক্যাডারের শৃঙ্খলায় বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
তারা বলেন, সরকারের শিক্ষানীতি ২০১০-এ সরকারি কর্মকমিশন পরিচালিত পরীক্ষা ও নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিধি রয়েছে। জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত হবার সুযোগ নেই।
মতবিনিময়কালে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের নন ক্যাডার করে তাদের চাকরি স্ব স্ব কলেজে সুনির্দিষ্ট করা, জাতীয়করণের আদেশ জারির পূর্বেই বিধিমালা প্রণয়ন, বিসিএস ছাড়া ক্যাডারভুক্ত না করা ও সরকারি করা ১২টি মডেল কলেজের শিক্ষকদেরও অনুরূপ বিধিমালার আওতায় আনা।