নিজস্ব প্রতিবেদক : হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মো রহমত আলী বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া যুক্তরাজ্য প্রবাসী শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর পরিবারের জন্যে ক্ষতিপূরণ, এ ঘটনার জন্যে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ (৭ চৈত্র) সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানিয়ে অবিলম্বে দাবিগুলো পূরণের আহ্বান জানান।
মো রহমত আলী জানান, শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটে যাত্রা শুরুর আড়াইটা ঘণ্টা পর অসুস্থবোধ করেন; কিন্তু এ কথা জেনেও পাইলট নিকটবর্তী কোনো বিমানবন্দরে এসওএস না পাঠিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী মারা যান।
একজন প্রবাসীর এই মৃত্যুর ঘটনার ব্যাপারে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে ১৯ মার্চ শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ ও বিমান দুর্ঘটনা ও মারাত্মক ঘটনার তদন্ত বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী দুর্ঘটনার যাত্রীর ক্ষেত্রে আইনের বিধানগুলো পালন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা, আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ অনুযায়ী শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হবেনা এবং যাত্রী অসুস্থ থাকা অবস্থায় নিকটবর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ না করার কারণে পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পাইলট ফজল মাহমুদের প্রতি চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সেলিম আজাদ।
আদালতের অপর এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সচিবকে ৭ দিনের মধ্যে প্রফেসর পদমর্যাদার দুইজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে যাত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Leave a Reply