আল আজাদ : ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আলোচনায় বিরতি থাকে।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে এলে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অধিকার আদায় ও মুক্তি অর্জনের জন্যে বাংলার মানুষ আন্দোলন করতে গিয়ে যে রক্ত দান করেছেন, তার সাথে আমরা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি জনতার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান তুলেন, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।
স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে বাংলার জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্বসমাজের সমর্থন কামনা করে এবং যে সব দেশের উপর দিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বিমান আসা-যাওয়া করছিল তাদের প্রতি বিমান চলাচলের অনুমতি বাতিলের অনুরোধ জানায়।
আসন্ন ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালনের জন্যে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবানে সর্বত্র ব্যাপক প্রস্তুতি চলতে থাকে।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ২৩ মার্চ ‘স্বাধীন পূর্ববাংলা দিবস’ পালনের প্রস্তুতি শুরু করে।
বিভিন্ন ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠন প্রতিরোধ দিবস পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি চালাতে থাকে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র ইউনিয়নের গণবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। আরো কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও গড়ে উঠে।
Leave a Reply