সিলেটের জেলা প্রশাসক মো রাহাত আনোয়ার বলেছেন, প্রবীণদের সম্মান শ্রদ্ধা জানানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। প্রত্যেক সন্তান তার পিতা-মাতা সহ বড়দের সম্মান করবে। বড়দেরও উচিত ছোটদের স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা দেয়া। এতে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হবে এবং পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে।
তিনি আরো বলেছেন, পারস্পরিক বন্ধন যত আন্তরিক হবে, পরিবার ও সমাজ তত বেশি উপকৃত হবে।
২৭তম অন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘আগামীর পথে : প্রবীণের সাথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রবীণ হিতৈষী সংঘ সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান। সহকারী কমিশনার জেসমিন আক্তারের সঞ্চালনায় পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান মসুদ রাজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মো মহীউদ্দিন চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক-কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট দেওয়ান গোলাম রব্বানী চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মতিচাঁন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রতি বছরের ন্যায় এবার পিতা-মাতার প্রতি অতি যত্নের স্বীকৃতি স্বরূপ নূরুল হাসান চৌধুরীকে মমতাময় ও দেওয়ান এস এস ফাতেমা রাজা চৌধুরীকে মমতাময়ী ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১ম মো কাইফ আহমদ জয়, ২য় জান্নাতুল ফাইরাজ জেবিন এবং যুগ্মভাবে ৩য় সামিন ইয়াসার ও সাদিয়া ইসরাম রিমি হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এর আগে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক মো রাহাত আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply