মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানবসম্পদে পরিণত করতে। নিজের সংস্কৃতি চর্চায় বিমুখ জাতি বিশ্বে টিকে থাকতে পারেনা। পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরই নান্দনিক প্রকাশ। সমাজ ও দেশের হাজারও সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় পিঠা-পার্বণের যে আনন্দ-উদ্দীপনা রয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নিরন্তর প্রাণিত করে চলছে। সেগুলো কখনও মুছে যাবে না।
মঙ্গলবার সকালে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে উপাচার্য ফিতা কেটে পিঠা উৎসব-২০২৩ উদ্বোধন করেন।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি জীবনে বারো মাসে তেরো পার্বণ প্রবাদে পরিণত হয়েছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে প্রতিটি ঋতুর রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি ঋতুও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিবিড়ভাবে। শীতকাল এলে নানা রকমের পিঠা, পায়েস, পুলি নাড়ু-লাড্ডুর কথা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ উপাচার্য প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন ও ট্রেজারার প্রফেসর ড সুরেশ রঞ্জন বসাক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড মো তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড মো নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো মাসুদ রানা, প্রক্টর ড মো জামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম ও উৎসবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানি।
এ পিঠা উৎসবে মধুপুলি, বিবিখানা, আমদশা, সন্দেশ, চন্দ্রপুলি, দুধপুলি, দুধচিতই, ফুলঝুরি, লবঙ্গ লতিকা ও ক্ষীরপুলি নামের স্টল অংশগ্রহণ করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply