উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আবুল খয়ের উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় তার ভাই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির ছাত্রকে আহত করার ঘটনায় শিক্ষার্থী এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে অবরোধ সৃ্ষ্টি, দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শির্ক্ষাীরা ২৪ ঘণ্টার ভিতর উত্যক্তকারী ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় এক প্রতিবাদ সভায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক কামাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বরইউরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ, অভিভাবক কমিটির সদস্য কফিল উদ্দিন, হায়দর মিয়া, আতাউর রহমান মামুন, মুহিবুর রহমান, হারুন মিয়া, মেম্বার তোফায়েল, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মো সরওয়ার শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার হিমেল প্রমুখ।
আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুর নূরের ছেলে শাহিনুর রহমান পলক উত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে রবিবার দুপুরে সে ঐ ছাত্রীকে মোবাইলে ফোনে আপত্তিজনক কথাবার্তা বলে। এ কথা জানতে পেরে ছাত্রীর বড়ভাই এই আচরণের প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষেপে গিয়ে শাহিনুর রহমান পলক তার চাচাতো ভাই আব্দুল আওয়াল ও সহপাঠীদের নিয়ে স্কুল ছুটির পর রসুলগঞ্জ নতুন বাজারের হামিদ মার্কেটের নিকট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারেকুর রহানের উপর হামলা চালায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন; কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করেন।
সন্ধ্যায়ই হামলার ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুল আউয়ালকে পুলিশ গ্রেফতার করে।