নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যেকোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই দেশবাসীর সবচেয়ে বড় ভরসা। তাই স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসীর কাছে ছুটে এসেছিলেন। সারা বিভাগের ব্যাপক ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বড় ধিরারাই গ্রামে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর উদ্যোগে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আনোয়ার আলীর অর্থায়নে বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচিও শুরু হয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রিতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য প্রতিটি পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছেন ১০ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এতকিছু সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্রাণ তৎপরতা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনার কোন সুযোগ না পেয়ে প্রতিদিনই আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন। এত এত ত্রাণ বিতরণের পরও সরকার বা আওয়ামী লীগের তৎপরতা তাদের চোখে পড়ছেনা। যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে তারা উন্মত্ত হয়ে আছে। দুর্নীতিবাজ বলে মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওযামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকালে তিনি সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলার বানভাসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক ঈদ উপহারের চেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে তুলে দেন।
দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ উপজেলায় সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিরের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো নাসির উদ্দিন খান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা সাকির আহমদ শাহীন, উপদপ্তর সম্পাদক মো মজির উদ্দিন, সদস্য আব্দাল মিয়া, গোলাব মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির চৌধুরী এলিম, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, যুবলীগের জেলা সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক মো শামীম আহমদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু ,সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল প্রমুখ।