বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম-বিআইজিএফ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৬ষষ্ঠ বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স -বিডিসিগ চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ইন্টারনেট বিশ্বের অংশীজনের অংশগ্রহণে বিডিসিগ শুরু হয়। উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিআইজিএফ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি। সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
বিডিএসআইজির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যসহ ২০১৭ সালে থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আয়োজনের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা দেন, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিআইজিএফের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম বজলুর রহমান।
তিনি বলেন, বিআইজিএফ ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। বিআইজিএফ জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান সংরক্ষণ, জ্ঞান প্রচার ও জ্ঞান ব্যবহারের জন্য সরকারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপ ও আলোচনা সভা পরিচালনা করে। এছাড়া বিডিএসআইজি স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি থেকে আইজিএফের কার্যক্রম ও এর পথপরিক্রমা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন, কিডস আইজিএফের প্রতিনিধি আয়েশা লাবিবা, বিডিএসআইজির পক্ষে আশরাফুর রহমান পিয়াস, ইয়ুথ আইজিএফের পক্ষে সৈয়দা কামরুন জাহান রিপা ও উইমেন ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের আহবায়ক ফারহা মাহমুদ তৃণা।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং-বাক্যর সেক্রেটারি জেনারেল মো তৌহিদ হোসেন বলেন, ইন্টারনেট ডিজিটাল সমাজের প্রাণ; কিন্তু আমাদের অর্থপূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগের জন্য কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিরাপদ সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে এবং ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি সবার জন্য উপলব্ধ ইন্টারনেট এবং বিনামূল্যে ও সাশ্রয়ী মূল্যের উপর জোর দেন।
বিশেষ অতিথি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ–আইএসপিএবির সভাপতি মো এমদাদুল হক সরকারের পদক্ষেপের বর্ণনা দেন ও গ্রাম পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, এমপি ইন্টারনেট ব্যবহার ও ডিজিটাল সমাজের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ই-কমার্স আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে ইন্টারনেট সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়া এবং সবার জন্য সমানভাবে তা নিশ্চিত করা উচিত। ডিজিটাল ব্যবধান কমাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট-সম্ভব হলে ডিজিটাল ডিভাইসের মূল্য কমাতে হবে। আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সবার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি জরুরি বিষয়। জনসাধারণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের হার প্রদানের জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোর জন্য ভ্যাট ও ট্যাক্স হ্রাস করা দরকার। স্মার্টফোনের দাম কমানো, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের জন্য ডিজিটাল সেল, সবার জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা ও জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য ইন্টারনেটকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।