সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীতে আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু : সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশিষ্টজনরা অভিমত রেখেছেন, পদ্মা সেতুর সফল নির্মাণ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। অবশেষে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জেলার প্রত্যক্ষ সংযোগ তৈরি হলো। বহুযুগের অসংখ্য মানুষের স্বপ্নকে সত্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আত্মপ্রত্যয়, সততা, সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা ও অসীম সাহসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। পদ্মা-মেঘনা-যমুনার কুলে কুলে হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও সাফল্যের সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটালেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
তারা আরও বলেছেন, ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির ভাণ্ডার বাংলার দক্ষিণ পশ্চিমের অঞ্চলগুলো। লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির অজস্র উপকরণ, আঙ্গিক এবং লোকপ্রিয় ধারা-উপধারা রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবনে। বহু বছর ধরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চর্চিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মিশে আছে বাংলা ও বাঙালির মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক দর্শনও। এই অসাম্প্রদায়িক দর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করেছিলেন টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাই বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ।
সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক নাসিম আখতার, অধ্যাপক ড নিজামুল হক ভূঁইয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, অধ্যাপক ড অসীম সরকার, অধ্যাপক ড চন্দ্রনাথ পোদ্দার, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী ও অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী ।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply