জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পর সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ ফেরত পাঠিয়েছে।
রবিবার দুপুরে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে তিন জনই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তারা নিজেদের নাম-ঠিকানা বলতে না পারায় এবং অন্যদের মধ্যে কারো কারো আত্মীয়স্বজন না আসায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়েছে।
দেশে ফেরা মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ভারতের আদালত তাকে দুই মাসের সাজা দিয়ে করিমগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। আদালতের নির্ধারিত সময়ে সাজা শেষেও তাকে অতিরিক্ত দুই বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। একই অবস্থা অন্যদেরও। প্রত্যেকেই সাজার মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন বছর কারাভোগ করেছেন।
তারা জানান, ভারতের শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিক এখনো বন্দি রয়েছেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হচ্ছেন, জকিগঞ্জ উপজেলার বড়পাথর গ্রামের হাসন আলীর ছেলে সামছ উদ্দিন (৩৪), মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ইনাইনগর গ্রামের মতছিম আলীর ছেলে রফিক উদ্দিন (৫০), বুবারতল গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার পাখি (৩৫), ডেমাই গ্রামের ইছহাক আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৮), বাচাকেছরীগুল গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৪৪), হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুনাড়ু গ্রামের রবীন্দ্র দাসের ছেলে রাহুল দাস (৩০), বেগমগঞ্জের আকতারামপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে করিম উসমান (৬০), ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বিজয়নগর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে ইসহাক আলী (৩৫), চাঁদপুরের মতলব উপজেলার সারদাইকাউ গ্রামের সালু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০), নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার পলাশতুলি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (৩৫), কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আখলিছ মিয়ার ছেলে আনিছুর রহমান (৪০), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পাঁচগণ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে শাহজাহান (৩৮), সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের জিতেন্দ্র দাসের মেয়ে মৌ দাস (২০), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া গ্রামের দেওনারায়ন গোয়ালার স্ত্রী প্রভাবতী গোয়ালা (৭০), বানিয়চাং উপজেলার জাতিকামাপাড়ার সুতাজ উল্লাহর ছেলে তাপুর মিয়া (৪০), গোপালগঞ্জের গোয়াইদারী গ্রামের সামছুল হোসাইন কাজীর ছেলে সোহাগ হোসেন কাজী (৩০) ও মৌলভীবাজারের বুধাইহাল গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৭)।
জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।