নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে মহামারি করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন, সিলেটে সংক্রমণ মোকাবেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধে সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির মতামত এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ মোতাবেক জারি করেছে ১১টি নির্দেশনা। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম কাজী এমদাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব নির্দেশনা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং কোন নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনায় উচ্চ সংক্রমণ চিহ্নিত এলাকা হওয়ায় সিলেট জেলায় সকল প্রকার জনসমাগম অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে হবে।
পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র এবং সিনেমা ও থিয়েটার হলে অন্য জেলা থেকে পর্যটক ও দর্শণার্থীরা আসতে পারবেন না।
সিএনজি চালিত যানবাহন এবং বাসসহ সকল প্রকার গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গণপরিবহণে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
হাটবাজার, বিপণিবিতান ও শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে কেনাবেচা রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। তবে এসব স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে যথাযথভাবে। মাস্ক পরিধান করতেই হবে।
সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে অবস্থান করা যাবেনা। অপ্রয়োজনীয় ঘুরাফেরা ও আড্ডা নিষিদ্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।
যে কোন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।
সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।
হোটেল-রেস্তোরাগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি ক্রেতা প্রবেশ করানো যাবে না।
কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সবসময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।