মো আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট : আকাশ ছোঁয়া পাহাড় ঘেঁষা প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের অপরূপ রূপলাবণ্য অবলোকন করতে কার না মন চায়। তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসা। তাও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পথের দূরত্ব কিংবা যাত্রা পথের দুর্ভোগ কোন বাধা হতে পারেনা। প্রাণের আকুতির কাছে সব তুচ্ছ মনে হয়।
প্রকৃতির প্রতি প্রাণের টান বড় দুর্বার। উপেক্ষা করার যেন উপায় নেই। তাইতো ঈদুল আজহার ছুটি উপভোগ করতে সব বয়সের নারী-পুরুষ-শিশু সীমান্তিক জনপদ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল ও মায়াবনে ভিড় করেছেন। বলতেই হয়, এখানে মানুষের ঢল নেমেছে।
সিলেট মহানগরী থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে জাফলং। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, তামাবিল জিরো পয়েন্ট, আকাঁবাকাঁ সড়ক পথ, পিকনিক সেন্টার, জাফলং গ্রিন পার্ক, পাথর কোয়ারি, সীমান্তের ওপারের ঝরণা, চা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, জুমচাষ, সাতকরা জুম, কমলা বাগান, নানা প্রজাতির পাখির কলতান-আরো কত কি। এছাড়া পাথরের তৈরি নানা সামগ্রীও পাাওয়া যায়।
সরজমিনে দেখা গেছে, জাফলং এখন লক্ষাধিক পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। মামার দোকান থেকে বল্লাঘাট পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি। আশেপাশের রাস্তা, পাথর মাঠ এবং ক্রাসার মেশিন জোনেও গাড়ির ছড়াছড়ি। তবে সিলেট-জাফলং মহাসড়কের মামার দোকান ও মোহাম্মদপুর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে পর্যটকরা ভীষণ ক্ষুব্ধ। কয়েকজন এই ক্ষোভ প্রকাশও করলেন।
জাফলং পিকনিক রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধকারী রাজিবুল ইসলাম শিমুল জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ঈদুল আজহায় পর্যটকের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে সেবা দিতে আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে আছি।
বল্লাঘাট ক্ষুধা রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জানান, ঈদ উপলক্ষে ব্যতিক্রমী কিছু আয়োজন করে থাকি, যাতে পর্যটকরা এখানে এসে আনন্দ পায়।
কয়েকজন পর্যটক বললেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে জাফলং এসে খুব আনন্দ উপভোগ করছি; কিন্তু রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, পর্যটন এলাকা জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল ও নতুন আবিষ্কৃত মায়াবন (জুগিরকান্দি)-সবখানেই অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সালাহ উদ্দিন জানান, পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের কোন সমস্যার খবর পাইনি। কোন ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।