‘বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার, শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার’ প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান। বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মুত্তাজুল ইসলাম এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক। সমাজসেবা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রভাষক সানজিদা সুলতানার সঞ্চালনায় ও সরকারি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শেখঘাটের শিক্ষক আবু তাহের মো ইবনে সাঈম খানের ইশারা ভাষা উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রহমানিয়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান খান সামসু, গ্রীণ ডিজঅ্যাবল্ড ফাউন্ডেশনের সভাপতি বায়েজিদ খান, সিলেট বধির সংঘের উপদেষ্টা এম আহমদ আলী, সিলেট বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকসুদ আহমদ মকসুদ এবং সিলেট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া নাসরিন। বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সিলেট বধির সংঘের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান রনি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাগর আহমেদ মিনহাজ।
বক্তারা বলেন, বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে সংবিধানে প্রতিবন্ধী মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার প্রতিষ্ঠার বিধান নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ হিজড়া ও বেদে জনগোষ্ঠীসহ অনগ্রসর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তারা বলেন, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধীর অধিকার সুরক্ষায় তাদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিকরণসহ চাকরির সুযোগ করে দিতে সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ প্রতিবন্ধীদের পেছনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply