বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানতে চেয়েছেন, দেশে গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ আর কত লাশ চায়।
তিনি বলেছেন, সরকার বাকশালী কায়দায় দেশ শাসন করতে গিয়ে লাশের উপর ক্ষমতায় মসনদে দাঁড়িয়ে আছে। বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করতে পারেনা। জনগণের দাবি আদায়ে কথা বললে রাস্তায় গুলি করে মারে। ভোলার ঘটনাই প্রথম নয়-২০০৯ সাল থেকে কত মায়রে বুক খালি করা হয়েছে সেই হিসেব নেই। হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না।
ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল নেতা নূরে আলমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর কৃষকদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
সিলেট জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শহিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বারবার সতর্ক করলেও কাজ হয়নি। সরকারের লাগামহীন লুটপাট দেশকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিতে ঠেলে দিয়েছে। এবার আর সতর্ক নয়-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিশেষ অতিথি অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করতে গিয়ে শেখ মুজিবের বাকশালকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাঠি নেই, দেশে রিজার্ভ নেই। দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাঠোয়ারী রিপন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কৃষক দল নেতা মাসুক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার টুটু, গিয়াস আহমদ, আলমাছ চৌধুরী, শাহীন আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তোরন, শাহীন আলম জয় প্রমুখ।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি